সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
একজন মানুষের সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকা অবস্থাতেও কিছুটা ক্যালরি ক্ষয় হয়। হৃৎপিণ্ড সচল রাখতে, শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে বা দেহের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় এই ক্যালরি খরচ হয়। যাকে বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) বলা হয়। বিএমআর মানুষ ও পরিস্থিতিভেদে ভিন্ন। বিএমআরের সঙ্গে ওজন বাড়া-কমার সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। তবে যারা ডায়েট করে থাকেন, তাদের নিম্ন মেটাবলিক রেট থাকলে ওজন কমাতে সমস্যা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্রেফ ঘরে পায়চারি, এটা-ওটা ছোট কাজকর্ম, পা নাচানো ইত্যাদি করেও সপ্তাহ শেষে প্রায় ৩৫০ ক্যালরি ক্ষয় হতে পারে। এখন দেখা যাক আমরা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়ামের বাইরেও কীভাবে দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ক্যালরি ক্ষয় করতে পারি।
# বাড়িতে বা অফিসে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। ১২টি সিঁড়ি ওঠা ও নামার পর আপনি ৫ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারবেন।
# কিছুটা দূরে গাড়ি পার্ক করে বা বাস থেকে নেমে বাকিটা পথ হেঁটে আসুন।
# কোনো কারণে হাঁটতে হলে (যেমন বাজার করার সময়) একটু দ্রুতলয়ে হাঁটুন।
# অফিসে প্রতি একঘন্টা পরপর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান, আড়মোড়া ভাঙুন ও পারলে পায়চারি করুন।
# বাড়িতে টিভি দেখা বা বসে পত্রিকা পড়ার মাঝে এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটি করুন। ঘরের কাজ করতে পারেন। ১৫ মিনিট মেঝে ঝাড়– দিলে ৩৯ ক্যালরি, দাঁড়িয়ে বাসনকোসন ধুলে ২২ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
এভাবে প্রতিদিন ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ একটু একটু বাড়িয়ে আমরা তা সপ্তাহান্তে মোট ব্যায়ামের সঙ্গে যোগ করতে পারি। সেই সঙ্গে ক্যালরি গ্রহণও কমাতে হবে। কেউ যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ ক্যালরি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে, তবে বছর শেষে ৪ থেকে ৫ কেজি ওজন বাড়বে।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।